Table of Contents
সোশালের বাংলা মানে হল সামাজিক। সামাজিক কি বুঝতে গেলে আগে জানতে হবে সমাজ ব্যবস্থা কি?
সমাজ কাকে বলে? What is society ?
খুব সহজে বলতে গেলে যখন একটা দেশে বা একটা বড় অংশের লোকজন কিছু নিয়ম, জীবন ধারণ এর প্রণালী, আচার অনুষ্ঠান, ধার্মিক চিন্তাভাবনা, মানসিকতা সবকিছু একসাথে পরস্পরের সাথে মিলেমিশে থাকে তখন তৈরি হয় একটা সমাজ। যার একটা নিজস্বতা আছে যার প্রত্যেকটা নিয়ম তৈরি হয়েছে সবকিছু চিন্তা ভাবনা করে । এগুলির বানানোর কারণ হলো সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা। সবাই যাতে শান্তিতে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সমাজ বলতে মূলত এমন এক ব্যবস্থা বোঝায়, যেখানে একাধিক লোকজন একত্রে কিছু নিয়ম-কানুন প্রতিষ্ঠা করে একত্রে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলে। মানুষের ক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তি একত্র হয়ে লিখিত কিংবা অলিখিত নিয়ম-কানুন তৈরি করে; এরকম একত্র বসবাসের অবস্থাকে সমাজ বলে।
“সমাজ” শব্দটি দ্বাদশ শতাব্দীর ফরাসি শব্দ société থেকে এসেছে যার অর্থ ‘সঙ্গ’। এটি পালাক্রমে ল্যাটিন শব্দ societas থেকে এবং পরবর্তীতে বিশেষ্য socius(“বন্ধু, মিত্র”;বিশেষণ socialis) থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। শব্দটি নাগরিকদের মধ্যে একপ্রকার বন্ধন বা বন্ধুত্বপূর্ণ মিথস্ক্রিয়া বোঝাতে ব্যবহৃত হতো।
সামাজিক কাকে বলে ? What is social?
সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে যারা প্রত্যেকটা নিয়মকে মেনে চলে তাদেরকেই সামাজিক বলে , আমরা জানি মানুষ একটি সামাজিক প্রাণী, প্রত্যেকটা জীবজন্তুরই একটা সমাজব্যবস্থা থাকে কিন্তু মানুষ যেহেতু উন্নত জীব আমাদের সামাজিক ব্যবস্থা অনেকটা উন্নত কিন্তু সাথে অনেক জটিলতাও আছে।
মানুষ খুবই বুদ্ধিমান প্রাণী , কিন্তু এই বুদ্ধি তারা বাজে দিকেও ব্যবহার করে। কোন মানুষ যখন নিকৃষ্ট মানের কোন অন্যায় কাজ করে তখন তাকে সমাজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বা একটা দাগিয়ে দেওয়া হয়। যে এই ব্যক্তি সমাজবিরোধী ।
আজকের দিনে আমরা কি সত্যি সামাজিক ? উত্তরটা হলো না একদমই সামাজিক নই, হয়তো কিছু আচার অনুষ্ঠান মানি কিন্তু সেটা সব নয় , হিংসা, রাগ, লোভ ,কাম , অহংকার এসব জর্জরিত সামান্য স্বাভাবিক চিন্তাও করি না অন্যের জন্য ।
প্রশ্নটা হলো আমরা এরকম হয়ে গেলাম কেন এটা কি একদিনেই হয়ে গেছে ? না তা নয় অনেক দিনের পর, ভালো করে বললে অনেক দশক ধরে একই রকম ভাবে হতে থাকলে সেটাকে ঠিক মনে করা মনে হয়, আর এটা হওয়ারও কারণ আছে যখন আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করি না তখন বাকিদের কাছে অন্যায়টাকে ঠিক জিনিস মনে হয় । আর এই ভাবেই তৈরি হয় অসামাজিক পরিবেশ।
প্রত্যেকটা সমাজের কিছু ভালো জিনিস থাকে তার মধ্যে ধৈর্য সহানুভূতিশীল ভালোবাসা অন্যকে সম্মান করা অন্যের কষ্টকে নিজের মনে করা নিজে আনন্দে অন্যদেরকে শামিল করা অন্যের দুঃখে নিজে শামিল হওয়া কেউ ভালো কিছু করলে তাকে প্রশংসা করা বাজে কিছু করলে সেটা মুখের উপরে সত্যি কথা বলা পেছনে নয় কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করা মানসিকভাবে একে অপরকে সাহায্য করা এই গুণগুলোকে বলা হয় সামাজিক গুণ, এগুলো কি এখন দেখা যায় আমাদের মধ্যে?
পশুপাখি জন্তু-জানোয়ারা পর্যন্ত আমাদের থেকে বেশি সামাজিক তারা একজনের বিপদের সবাই আছে কিন্তু আমরা একজনের বিপদ হলে আরেকজন উপভোগ করছি আমরা সামাজিক লজ্জা করে না ভাবতে।
আমরা মনে করি সবকিছু সরকারের কাজ নিজের ইচ্ছা নিজের ভালোলাগা সেটাও কি সরকার পছন্দ করে দেবে না আমি থুতু ফেলব পাশের বাড়ি সেটা সরকারে এসে পরিষ্কার করে দেবে আমি লোকের প্রতি হিংসা করব সেটাও কি সরকার এসে দেখবে আমি কি বেআইনিভাবে কার্ডটা কেড়ে নিয়েছি সেটা কি সরকারি সরকার এসে দেখবে ? আমি একটা কুকুরকে জল না দিয়ে খাবার না দিয়ে তাকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দিচ্ছি, তার বাচ্চাগুলোকে মেরে দিয়েছি এটাও কি সরকার এসে দেখবে?
আমার ছেলে মেয়ের সাথে হিংসা করছি। আমার ছেলে মেয়ের সাথে বাচ্চারা যারা হিংসা করছে তাদের সাথে হিংসা করছি। তাদেরকে মিথ্যা কথা বলছি এগুলো কি সরকার এসে দেখবে? সরকার কি প্রত্যেকটা মানুষের মাথার মধ্যে ঢুকে ঢুকে গিয়ে তাদেরকে বলতে থাকবে যে কি করা উচিত কি উচিত না?
সুতরাং আমরা যে অসভ্য হয়ে গেছি সেটা বলতে ভাবতে দ্বিধা করা উচিত নয় এবং যদি কেউ ভাবি যে আমি অসামাজিক হয়ে গেছি কিন্তু সমাজ তো আমার কথা শুনবে তাহলে ভুল, পরবর্তীকালে কোথাও না কোথাও এরকম অসামাজিকতা নিজেকেও মুখোমুখি হতে হবে।
অন্যের বাজে চাইলে সেটা কখনোই নিজের জন্য ভালো হয়ে আসতে পারে না সে যখনই হোক বা যেটা আসবেই এটা বিজ্ঞান এটা কোন কুসংস্কার ধার্মিক কথা নয়। যেমন গাছ কেটেই যাচ্ছি গরম বাড়ছে সুতরাং প্রকৃতিকে যা দেবে প্রকৃতি তাই ফেরত দেবে,এটাই নিয়ম মানলে ভালো না মানলে আরো ভালো নিজের শেষ সময় সব মনে পড়বে।
কিন্তু কিছু করার থাকবে না ভুল যত আগে মানা যাবে তত ঠিক করার সুযোগ থাকবে। আর ঠিক করতে না পারলে সেটা আবার সেখান থেকে শুরু হবে। এটাই প্রকৃতির বিজ্ঞান
কি করে আর কেন এইভাবে আমরা অসামাজিক হয়ে পড়ছি সেটার কিছু জিনিস বিশ্লেষণ করা খুবই দরকার।
আজকের সামাজিকতা:
সোশ্যাল বা সামাজিকের আসল বাস্তবতা এখন অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে আমরা কতখানিক সামাজিক সেটা বলা এখন মুশকিল। আমরা মানুষ আজকের দিনে নিজেদের মানুষ সবকিছুই হারিয়ে ফেলেছি , অহংকারে অন্ধ বুদ্ধি নেই কিন্তু বুদ্ধিমান সাজার চেষ্টা করি। সমাজের যতই বাজে কাজ হোক নিজেদের স্বার্থে চুপ থাকি । এটাকে কি করে সামাজিক বলা যায়! পাশের বাড়ির কোন অসুবিধা হলেও আমরা আজকাল গ্রাহ্য করি না।
বাস, ট্রেনের একটা সিটের জন্য ১৫ মিনিট দাঁড়ানোর ব্যাপারেও মারামারি পর্যন্ত করি, স্কুলের বাচ্চাদের জন্য নিজেরা ঝগড়া করি কোন বয়স্ক লোক পাশে এসে দাঁড়ালে মোবাইল দেখার ভান করে এড়িয়ে যাই এরকম বহু ছোট ছোট ঘটনা আছে যেখানে আমরা মানুষ বলে নিজেকে পরিচয় দিতে লজ্জা পাই। তাহলে আমরা কেমন সামাজিক? শুধু দাঁত বের করে কারো বিয়ে বাড়ি যাওয়ার হলে গিফট নিয়ে গেলেই কি সামাজিক?
এটাকে কি বলা হবে? বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে নিজেদেরকে বড়াই করছি। মিথ্যা কথা বলছি। যা নয় তাই দেখাচ্ছি। কিন্তু আবার বাকিদের মিথ্যাটাকে বিশ্বাস করছি এবং সেটা দেখে নিজেদের ভালো সম্পর্ক গুলোকে নষ্ট করছি আবার আমরা সামাজিক!
আমরা গায়ের টি শার্ট সামাজিকের বিভিন্ন কথা লিখে বেরাই কমিউনিজম দেখাই ! জামা তে বুদ্ধিমান লিখে বেড়ালে বুদ্ধিমান হয় না সেরকম মানুষের পাশে আছি বলা লেখা থাকলেই সে মানুষের পাশে আছে তার কোন মানে নেই।
সবকিছু জানতে গেলে সমাজকে সামাজিকতাকে বুঝতে গেলে আমরা কোথা থেকে ভুল করছি কেন করছি কাদের কথায় করছি এগুলো নিয়ে আলোচনা দরকার, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলের কিছু কারণ নিচে আলোচনা করা হলো।
সামাজিক চিন্তাধারা বদলের কারণ:
রাজনীতি:
সমাজব্যবস্থা কে চালনা করার মূল দুটো কারণ হলো অর্থনৈতিক এবং আইন ব্যবস্থা আর এই দুটোকেই পরিবর্তন এবং চালনা করার ক্ষমতা রাখে রাজনৈতিক দল।
যেই দল সরকার গঠন করবে তার হাতেই সব ক্ষমতা এবং সেই ক্ষমতা তারা কিভাবে ব্যবহার করবে সেটা একমাত্র তারাই জানে
স্বাধীনতার পর থেকে ভারতবর্ষে কংগ্রেস ও সিপিএম এই দুটো পার্টির মানসিকতা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলানোর জন্য মূল কারণ. এই দুটো দলেরই মানসিকতা এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের বুদ্ধি ধারণের ক্ষমতা সবকিছু বহিরাগত যার সাথে ভারতের প্রাচীন সভ্যতা সংস্কৃতি বা ধর্মের সম্পর্ক নেই।
স্বাধীনতার পরে কিছু বুদ্ধিমান লোক চালাকির দ্বারা সরকার গঠন করে। কারণ যারা প্রকৃত নেতা ছিল তারা হয়তো মারা গেছেন অথবা কোন ষড়যন্ত্রের শিকার আর সরকার গঠন করল ব্রিটিশ আর মুসলিম লীগের লোকজন যাদের সাথে ভারতের প্রকৃত ভারতীয়দের কোনরকম মিল ছিল না। কেন ভারতবর্ষের একটা বড় অংশ ছিল হিন্দু যারা বিগত ৮০০ বছরের বেশি বিভিন্ন বহিরাগত শক্তির হাতে বন্দি ছিল যার ফলে তাদের মানসিকতা শক্তি জ্ঞান সবকিছু কমে গেছিল।
সুতরাং এমন একটা ভুলে যাওয়া জাতিকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়া অনেক সহজ এবং সেটাই করেছিল তখনকার সরকার. সমাজ ব্যবস্থায় মানুষ যখন প্রাচীন নিজেদের ইতিহাস সম্পূর্ণ ভুলে যায় তখন তাদের পরিণতি খুবই খারাপ হয়। না তারা এদিকে না তারা ওদিকে এমন অবস্থায় ঝুলতে থাকে ।
কমিউনিজম একটা মজার জিনিস মুখে বলবে গরিবদের জন্য সবকিছু কিন্তু সমাজে গরিবদের কোন সম্মান নেই, গরিবদের থেকে টাকা নিয়ে নেব বলবো তোমাদের জন্য লড়াই করছি। কিন্তু আদতে কোন লড়াই করবে না অধিকারের নামে লড়াই করে তোমার অধিকারও যাবে টাকা পয়সা ও যাবে তুমি বাধ্য হবে কমিউনিস্ট নেতাদের পা ধরে চলতে । এটাই কমিউনিজম, কমিউনিজমের কোন নেতা কে দেখেছেন ভিখারি হয় মরতে? কিন্তু কলকারখানা বন্ধ হয়ে হাজার হাজার গরিব মরে গেছে ওদিকে কমিউনিস্ট পার্টির ইউনিয়ন নেতারা ধনী হয়েছে।
অর্থনীতি শেষ, কি করবে মানুষ? সামাজিক থাকবে না অসামাজিক কাজ করবে?
কমিউনিজম হলো এমনই একটা শক্তি যেটা নেই সেটাকে সেখানে দেখানো হবে, যদি কেউ বলে ডানদিক যাব তখন বলে বাদ দিক যাব, কিন্তু যখন বললে কেউ বাঁদিকে যাব তখন সে বলল আমি ডানদিক যাব এটাই হল কমিউনিজম, যার মূল নীতিই হলো বিরোধিতা করা, সে হয় সঠিক কি বেঠিক, কিন্তু কখন সঠিক হয় কখন বেঠিক হয় সেটা নিজেরাও জানেনা।
পুরো পৃথিবীর কাছেই কমিউনিজম জিনিসটা হলো একটা শয়তানের শক্তি।
ভারতবর্ষের সামাজিক প্রেক্ষাপটে রাজনীতি একটা বিশাল বড় জিনিস যা মানুষের চিন্তাধারাকে ও জীবনধারাকে পুরোপুরি পাল্টে দিতে সক্ষম।
শিক্ষা ও পড়াশোনা:
সামাজিক থাকতে গেলে একটি সুস্থ পরিবেশ দরকার এবং সুস্থ পরিবেশ আসে ভালো সমাজ থেকে ভালো সমাজ ঘটনায় ভালো শিক্ষা বা পড়াশুনা থেকে।
শিক্ষা মানেই সততা যেখানে সততা থাকবে না সেখানে শিক্ষা কোনদিন ভালো হবে না স্বাধীনতার পরে পরবর্তীকালে আমরা যা শিক্ষা পেয়েছি তা পুরোটার বেশিরভাগই অন্য দেশের শেখানো জিনিসকে আমরা অনুসরণ করছি এবং কোন কিছু না বুঝেই।
কারণ আমরা নিজেদের ইতিহাস সম্পর্কে কিছুই জানিনা , বলতে গেলে জানানো হয়নি কথায় আছে যদি একটা জাতিকে বোকা বানাতে চাও তাহলে তার ইতিহাস কে ভুলিয়ে দাও একটা মিথ্যা কথাকে ১০০ বার বলতে বলতে সেটা কি সত্যি মনে করে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সেরকমই একটা জিনিস।
ভারত বর্ষ বিগত ৮০০ বছর ধরে বিভিন্ন বহিরাগত তীর দ্বারা পরিচালিত ও শোষিত ইসলামিক বহিরাগতরা তারপর পর্তুগিজ এবং সর্বশেষ ইংরেজ বিভিন্ন সময় আমাদের সমাজ ব্যবস্থার উপরে অত্যাচার এবং আমাদের শিক্ষার ইতিহাস কে মুছে ফেলা সবরকম প্রচেষ্টা করেছে, এবং স্বাধীনতার পরে কংগ্রেস সরকার সেটিও একটি ইসলামিক সরকার।
ভারতবর্ষে ইসলাম এবং ইংলিশের জন্মস্থান নয় এখানে হিন্দুদের সংস্কৃত, হিন্দি এবং অন্যান্য ভাষার স্থান কিন্তু এই বহিরাগত শক্তিরা সবসময় আমাদের শিক্ষার যত প্রাচীন ভিত্তি থেকে শুরু করে বই এবং সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে এবং আমাদের ইতিহাসকে মুছে দেবার সব রকম চেষ্টা করেছে এবং তাতে অনেকটা ও সফল হয়েছে।
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষ সম্বন্ধে অনেক কিছুই জানিনা এবং আমাদের ইতিহাসের পুস্তকে বহিরাগত দস্যু কে মহান করে দেখানো হয়েছে। যার জন্য আমাদের মধ্যে এমন একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে সেখানে সেখানে বহিরাগত কমনিজম একটা চালাকির দ্বারা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার একটা প্রাচীন অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এখান থেকে আমাদের সামাজিক পতন শুরু হয়েছে।
আমাদের পাঠ্যপুস্তকে যেহেতু আমাদের প্রাচীন সভ্যতা সংস্কৃতি বা মনীষীদের ইতিহাস সম্বন্ধে আমাদের কোন জ্ঞান ধারণা নেই সুতরাং আমরা একটা ভুল পথেই চালিত হব এটাই সেটাই স্বাভাবিক আমাদের শিক্ষা এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি একটা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা থাকি এক দেশে কিন্তু মানসিকভাবে আমরা অন্যান্য লোকেদের মতন ব্যবহার করি সুতরাং না আমরা এদিকের না ওদিকের.
পৃথিবীতে কোন দেশ আছে যারা নিজের মাতৃভাষা বলতে ঘেন্না করে বা নিজেকে ছোট মনে করে আমাদের ভারতবর্ষের তাই নিজেদের মাতৃভাষাকে আমরা ছোট মনে করি যেখানে নিজের মাকে আমরা মা বলতে লজ্জা পাই সেখানে আমরা কি সামাজিক ব্যবস্থাকে গড়ে তুলেছি ভাবা যায় কি?
ভালো করে বলতে গেলে আজকে বাঙ্গালীদের যা মানসিকতা আমরা যেরকম সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি বা যেরকম ব্যবহার আমরা করছি পুরোটাই কিন্তু কমিউনিজমের ধারা থেকে ১৯৬০ এর দশক থেকে কমিউনিজম বাংলাকে টার্গেট করে এগোতে থাকে এবং এটা মূলত এসেছিল রাশিয়া থেকে এবং একটা শিক্ষাগত দিক থেকে বাঙ্গালীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হতে থাকে বিভিন্ন রকমের নকল মানসিকতা, এখানে সেখানেও হতে থাকে ধর্ম মানা মানে বোকামি পয়সাই সব, পরিবর্তন তো বলে কিছু হয় না।
নিজে যেটা ঠিক সেটাই ঠিক। নিজেদের গরিবদের সরকার বলে ক্ষমতায় আসে কিন্তু এখানে গরীব হওয়াটাই মূল অপরাধ।
এর ফলে সমাজটা পুরো টুকরো টুকরো হয়ে যায় এবং বাঙালিরা একা হয়ে পড়ে। কারণ কমিউনিজম এসেছিল ভারতের রাজ করবে বলে সেখানে তাদের মূল লক্ষ্যই ছিল যত পারো সমাজকে টুকরো করো এবং নিজেদের মতাদর্শে একজোট করে আমেরিকা এবং ব্রিটেন বিরুদ্ধে একটা বড় সামাজিক ব্যবস্থাকে গড়ে তোলা।
ভারতের বাজার দখল করা এবং নিজেদের অর্থনীতিকে শক্ত করাই ছিল এদের মূল লক্ষ্য, এইজন্যেই আজকে বাঙালিরা একা । এবং নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে হিংসা করে দিন কাটায় বাইরের শক্তির সাথে কিছু বলার সাহস এদের নেই। আর নিজেদের একটা মিথ্যা দুনিয়া বানিয়ে রেখেছে বুদ্ধিজীবী বলে যার কোন অস্তিত্ব ভালো কাজে দেখা যায় না।
এখনো এই কমিউনিজম ব্যবস্থাকে চীন সব রকম দিক থেকে সাহায্য করে যাচ্ছে। সে মাওবাদী হোক অথবা বিভিন্ন রকমের বিচ্ছিন্নতাবাদী অর্থনৈতিক এবং ওই কথার দিক থেকে টুকরো টুকরো করাই হচ্ছে এদের সবসময় লক্ষ্য। ভালো করে দেখলেই বোঝা যাবে।
পরিবার:
যে কোন সমাজ ব্যবস্থাতেই পরিবর্তন তো একটা মূল দিক নির্ণয়ের কাজ করে। প্রাচীনকালে আমরা দেখে এসেছি একান্নবর্তী পরিবার যেখানে অনেকে একসাথে মিলেমিশে থাকে এবং গৃহকর্তা বা কর্তির একটা নির্দিষ্ট নিয়মকে মান্যতা দেয়।
কিন্তু আধুনিকতার নামে আমরা যখন কমিউনিজম সরকারকে বেছে নিলাম এবং ধীরে ধীরে বিদেশী মানসিকতায় নিজেদেরকে অভ্যস্ত করতে শুরু করলাম, আমরা ফেলে আসলাম আমাদের নিজেদের প্রাচীন মূল সভ্যতাকে আর হতে থাকলাম একা এবং সেখান থেকে জন্ম নিতে থাকলো হিংসা, মানসিক দুর্বলতা, আর্থিক লোভ এবং আসতে থাকলো বিষণ্ণতা।
কথায় আছে একতায় বল এবং একা হলে দুর্বল আর মানুষ যত দুর্বল হবে ততটাই তার মধ্যে বাড়বে নেতিবাচকতা আর এখান থেকেই জন্ম নেয় বিভিন্ন প্রকার মানসিক দুর্বলতা যার মধ্যে রাগ ঘেন্না হিংসা কাম লোভ এসব বাড়তে থাকবে তখন সামাজিক বন্ধন হালকা হবে এবং মানুষ অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত হতে থাকবে। এটাই নেতিবাচকতার নিয়ম আগে একা করো তারপর দুর্বল কর তারপর যা চাইবে সেটা করিয়ে নেবে।
আজকের দিনের মা-বাবারা বাচ্চাদেরকে শেখায় প্রথম দিন থেকেই। এ কিভাবে অন্যের থেকে জিনিস কেড়ে নিবি। ওদের শেখায় না যে কাউকে কিছু দিবি বা কেউ কিছু বললে সেটাকে বুঝে তারপরে করবি সবসময় খালি প্রতিযোগিতা আর এই করতে করতে যখন বাচ্চারা বড় হয়েও যাবে তখন মা-বাবারা প্রত্যাশা করবে যে আমার ছেলে কি আমার মেয়ে আমাদের জন্য চিন্তা করবে ।
তুমি কি কোনদিন শিখিয়েছো তাকে অন্যের জন্য কিছু চিন্তা করা ? এইজন্যে যখন একান্নবর্তী পরিবার ছিল তখন সবাই দেখতে পেত বাচ্চাকে কি শেখানো হচ্ছে সবাই সেটাকে বিরোধিতা করতে পারতো বা ভালো জিনিস শেখাতে বাধ্য করতো।
কিন্তু এখন মা বলা একা থাকে এবং যে এমন ইচ্ছা তেমন শেখাচ্ছে। পরে প্রত্যাশা করছে যে ভালো কিছু হবে। এইজন্যেই পরিবার একটা বিশাল বড় ভূমিকা পালন করে যে কোন সমাজের ক্ষেত্রে।
ধর্ম:
ধর্ম এমন একটা সূক্ষ্ম জিনিস যেটা মনের সাথে সাংস্কৃতিক সমাজের আচারকে সুন্দরভাবে মেলবন্ধন করে। যেখানে আমরা অজান্তেই ভালো ভালো কিছু জিনিসকে মানতে থাকি। ধর্মের প্রকৃত লক্ষই হল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি মানসিক বিকাশ যেখানে সবকিছুকে গ্রহণ করার ক্ষমতা এবং কঠিন সময় সাহায্য করার সবকিছু সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা থাকবে।
কিন্তু বাস্তবে এসব কিছুই করা হয় না। কেউ ইসলাম ধর্মের নামে অন্য ধর্মের লোককে মারো কাটো তাহলে তুমি জান্নাতে যাবে এসব শেখানো হচ্ছে আবার কোথাও শেখানো হচ্ছে এই ভগবানই শেষ কথা। এর উপরে অন্য কেউ নেই, ধর্ম যেখানে উদারতা এবং মনে শান্তির জন্য সৃষ্টি হয়েছে সেখানে ধর্মই মানসিক শান্তি ভঙ্গ করছে ।
কারণ কি এখানেও সুবিধাভোগী চালাক লোকজন ঢুকে পড়েছে নিজেদের ব্যবসা করার নামে। সব সময় দেখবে গরিব ঘরের লোকেদের উপরই পাপ হচ্ছে ভগবান শাস্তি দিচ্ছে কি আল্লাহ শাস্তি দিচ্ছে এসব বলা হয়।
বড়লোকদের বাচ্চারা কি অন্যায় করে না ? কই বড় বড় লোকের বাচ্চারা তো বোমা বেধে জান্নাতে যাচ্ছে না, বা সবকিছু ত্যাগ করে পয়সা কড়ি ছেড়ে সন্ন্যাস হচ্ছে না, কেন হচ্ছে না কারণ তারা জানে যে যেটা আমরা বলছি সেটা ঠিক নয়। আসল সত্য কি সেটা কেউ কোনদিন বলবে না, সেটা নিজের মনকে শান্ত করলেই বুঝতে পারা যায় বা অনুভব করা যায় এবং এর জন্য দরকার একটা সুস্থ সামাজিক পরিবেশ যেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা পাই না।
ধর্ম যখন চালাকির দ্বারা প্রভাবিত হয় তখন নিত্যনতুন নিয়ম বানিয়ে মানুষকে বোকা বানানো হয় বা তার উপর জোর খাটানো । তার ফলে তৈরি হয় একটা অরাজকতা এবং মানুষ ধর্মকে মনে মনে ঘৃণা করতে শুরু করে। আর এইভাবে ধর্মের সাথে যে ভালো জিনিস গুলো ছিল সেগুলোকেও মানুষ ভুল বুঝতে শুরু করে এবং সেটা থেকে পিছিয়ে আসে যার ফল রূপে কোন ভালো কাজ তো হলোই না উল্টে মানুষ আরো বাজে হয়ে গেল।
কম গুণী ব্যক্তি আছে যারা কোন কিছুর বিনিময় ধর্ম শেখায় না। বা ভালো উপদেশ দেয় না। তারা বিনামূল্যেই লোকের ভালো করে সেই রকম লোকজন হয়তো খুব বিশাল বড় কেউ হয় না। তাই লোকজন হয়তো তাদের কথাকে সেইভাবে মানতে চায় না কিন্তু যারা প্রকৃত সৎ ব্যক্তি তারা নিঃশব্দে ভালো কাজ করতে থাকে।
এখন তো ধর্মের সাথে ধর্মের প্রতিযোগিতা হয় আমার ধর্ম ভালো তোর ধর্ম বাজে। এইভাবে হতে পারে না কেন কোন ভগবানই বা আল্লাহ বা প্রভু যীশু কোনদিন কোন মানুষের ক্ষতি করা শেখাতে পারে না তাহলে তারা ভগবান হত না। কিন্তু মানুষ যে যার মতন করে যা খুশি করছে শেখাচ্ছে সবার সাথে সবাই প্রতিযোগিতা করছে। এর ফলে সমাজ ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হচ্ছে।
একে অপরকে যখন শত্রু ভাবছে তখন একজন আরেকজনের বিপদে আসছে না হিন্দু মুসলমানের ডাকে আসবে না মুসলমান হিন্দুর ডাকে আসবে না । যখন বিপদে পড়ে কেউ আসছে না, সমাজে সবাই রয়েছে কিন্তু কেউ কারোর উপকারে লাগবে না পড়ন্ত ক্ষতি করছে। তাহলে আমরা কি করে বলবো যে আমরা সামাজিক?
সিনেমা চলচ্চিত্র ও সোশ্যাল সাইট:
কোথায় আছে চকচকে জিনিস কি মানুষের বেশি ভালো লাগে সেটা বাজে কি ভালো সেটা বোঝার ক্ষমতা নাই বা থাকুক সেই রকমই একটা জিনিস হলো সিনেমা চলচ্চিত্র এখানে যা দেখানো হয় সেটার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই।
কিন্তু মানুষ সেগুলোকেই বেশি করে অনুসরণ করতে থাকে যার ফলস্বরূপ সমাজে একটা উগ্রতা এবং নোংরামির বহিঃপ্রকাশ হতে থাকে যে কোন নোংরা জিনিসই জনপ্রিয়তা তাড়াতাড়ি পায় সেই জন্য বিভিন্ন সিনেমা পরিচালক বা প্রযোজকরা একই রকমের সিনেমা বানিয়েই যাচ্ছে। সিনেমার বাজে প্রভাব অল্পবয়সীদের মধ্যে বেশি হয়। কারণ তাদের বুদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম থাকে অভিজ্ঞতা কম থাকে কিন্তু যেই বয়সে বুদ্ধি হওয়ার কথা সেই বয়সেই যদি লোকে বাজেটা শিখতে থাকে তাহলে সে আজীবন ওইরকম ভাবেই ব্যবহার করতে থাকবে।
এখনকার সিনেমাতে নেতিবাচক চরিত্র বা খলনায়কদের কে নায়ক বানানো হয় আর আইনের রক্ষক কি পুলিশ বা আদালতকে নেতিবাচক দেখানো হয়। যার ফলস্বরূপ সবাই বাজে কাজ করতেই বেশি ভালো পছন্দ করছে। কোন গুন্ডা স্মাগলার বা বাজে নেতা তাদেরকে দেখানো হচ্ছে যে তারা সমাজ থেকে কষ্ট পেয়েছে বলে তারা আজকে বাজে হয়েছে। বাস্তবে কি সেটা হয় ?
এক কোটি লোকের মধ্যে একজনের সাথে বাজে হতে পারে। কিন্তু তার মানে কি সে বাজেটাকেই বেশি করে দেখাতে হবে যাতে আরো বেশি করে লোক বাজে হয়? মেয়েদের সম্মান করা সিনেমাতে দেখানোই হয় না, কিন্তু মেয়েরা নারীরা সমাজের একটা মূল শক্তি। এখন বাকি একটা মেয়ে যদি বাজে কিছু অভিনয় করে তাকে দেখে বাকিরা অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
পয়সার জন্য টাকার জন্য সবাই যদি একই রকম করতে থাকে তারা সমাজের মূল্যায়নের কোথায় থাকবে? কথায় বলে একটা ছেলে বাজে হলে একরকম কিন্তু একটা মেয়ে বাজে হলে সে হাজারটা ছেলের বাজে হওয়ার সমান। সুতরাং এই মেয়েরা মা হবে এবং তারা তাদের পরের প্রজন্মকে শিক্ষা দেবে। তাহলে কি শিক্ষা দেবে?
যেকোনো বাচ্চার জীবনে মা হচ্ছে অমূল্য জিনিস মায়ের কথাকেই বাচ্চার া বেশি নিজের মনে করতে পারে সেখানে বাচ্চাদের জীবনকালে গঠন থেকেই এটা নেতিবাচক আবহাওয়াতে বড় হচ্ছে।
এখন সিনেমার সাথে আর একটা বড় জিনিস দোসর হয়ে এসেছে সেটা হল সোশ্যাল সাইট । যেখানে ৯০% জিনিসই মিথ্যা তৈরি হয়েছে খালি মানুষের বিনোদনের জন্য। কিন্তু সেটাকেই মানুষ বাস্তব ভাবছে। সিনেমার থেকেও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এই সোশ্যাল মিডিয়া।
মানুষ মানুষ জীবন কাটানোর জন্য সম্পর্ক খুঁজে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সেটা যে কি ভয়ানক তার তার সঠিক মূল্যায়ন এখনো করার আছে হচ্ছে না। সিনেমা দেখে মুসলমান ছেলেরা হিন্দু নাম নিয়ে মেয়েদের সাথে লাভ জিহাদ করছে আর হিন্দু মেয়েরা বিভিন্ন রকম অভিনেতা তাদেরকে ভেবে এদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করছে যার পরিণতি হচ্ছে নারী পাচার ধর্ষণ আর ধর্ম পরিবর্তন।
এই মুসলমান যুবকদের মসজিদ থেকে টাকা দেওয়া হয় পুরস্কার হিসেবে যদি কোন হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করতে পারে এসব হচ্ছে সিনেমা প্রভাব থেকে হিন্দি সিনেমার সব খানদের মুসলমান নায়কদের রোমান্টিক অভিনয়তে এইভাবে জাল ছড়াতে সুবিধা হচ্ছে বাকি মুসলমান যুবকদের। এরকম যদি হতে থাকে কোন সমাজব্যবস্থা ভালো থাকবে ? সামাজিক প্রশ্ন থেকেই যায়!
সংক্ষিপ্ত ও উপসংহার:
আজকের দিনে রাজনৈতিক দিক থেকে হোক কি ধার্মিক দিক থেকে হোক কিংবা পড়াশোনার ভুল পাঠ্যপুস্তকের ভুল ইতিহাস থেকে হোক কিংবা সোশ্যাল সাইট বা চলচ্চিত্র দেখে হোক মানুষ সামাজিকতা শিখছে না। বরং নেতিবাচক দিক থেকে বেশি করে দেখতে থাকছে।
যার ফলস্বরূপ সমাজ একটা বাজে দিকে যাচ্ছে এবং আগেও যাবে যদি না নিজেরা ঠিক হয়ে কেন সব কিছু দায়িত্ব সরকারের নয় কোন দেশের কারণ নয়। কিন্তু যদি বাজে সমাজ হতে থাকে সেটা ব্যবহার সব বাজে লোকেরাই করবে।
ভালো উন্নতি হবেই না ধ্বংস কিন্তু অবধারিত কেউ বাঁচাতে পারবে না বাজিরাও মরবে বালেরাও মরবে সুতরাং সেইটা যদি না হয় ভালো সমাজ কে গঠন করতে গেলে ভালো শিক্ষা ভালো আইন কানুন ভালো রাজনীতি দল সবকিছু একটা সুস্থভাবে দরকার আর নিজেদের সব থেকে বড় কথা হচ্ছে নিজেদের চিন্তা ধারাকে পরিপক্ক করা। ঘর থেকেই শুরু হয় সমাজ ব্যবস্থা। এটা মাথায় রাখতে হবে।
সচেতনতার শর্ত:
কাউকে ব্যাক্তিগত বা ধর্মীয় আঘাত করার কোনো উদেশ্য নেই যা সত্য ঘটনা ঘটে চলছে তার বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল থেকে সমষ্টিগত বিশ্লেষণ এবং তাই লেখা হয়েছে এখানে আমরা কোনো ব্যাক্তি বা ধর্ম বা রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করি না এবং ভুয়ো খবর বা পোস্ট করি না তার পর ও যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকে সেটা তার ব্যাপার আমরা কোনোভাবে দায়ী নই।
একগাদা বিশ্লেষণ কিংবা বইয়ের এদিক-ওদিক সেদিকের কোন জ্ঞান নয়, সোজা কথা একদম সহজভাবে বোঝানো হয়েছে। এখানে কোন তথ্য দিয়ে মাথা ঘামানোর মতন কোন বিষয় নিয়ে লেখা হয় না। মানুষের চোখ কান খোলার জন্য যেটুকু কথা দরকার সেটুকুই বলা হয়।
যা সহজে বোধগম্য হয়, কে কি বলেছে কোন Writers/Actors/Scientists/ Philosopher etc কি বলে গেছে! কোন বইতে কি লেখা আছে! কোন দেশে কি বিশ্লেষণ হয়েছে কে এই রিপোর্ট দিয়েছে কে ওই রিপোর্ট দিয়েছে? এসব জেনে বা জানার ইচ্ছা সব সময় মানুষের থাকে না এবং অত details reports মনেও থাকে না।
যেটা মনে থাকে সোজা কথা সহজ ভাবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।আমাদের লক্ষ্য সচেতনতা বাড়ানো । সাধারণ জিনিস সাধারণভাবে সাধারণ মানুষদের জন্য এখানে লেখা হয়। কে কত বড় পন্ডিত সেটা প্রমাণ করার জায়গা এটা নয়।সবকিছু বাস্তবিক অভিজ্ঞতা থেকে লেখা হয়, মনের কথা মন পর্যন্ত।