Table of Contents
মূর্খ ও মূর্খতা:
বুদ্ধিমান সবাই নাই হতে পারে কিন্তু কিছু না বুঝেও সবকিছু বোঝার ভান করা এবং বোকামির দৃষ্টি স্থাপন করাকে মুর্খামি বলে। যারা প্রতিনিয়ত মুর্খামি করেই চলে তাদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
মূর্খ হওয়াটা কোন পাপ নয় কিন্তু সেটাকে নিয়ে গর্ব করা এবং ভুল থেকে শিক্ষা না নেওয়াটা অবশ্যই পাপ যেটা আজকের দিনে বেশিরভাগ লোকই করে চলছে নির্লজ্জ ভাবে।
বুদ্ধিমান আর মূর্খের মধ্যে তফাৎটা খুব কম বুদ্ধিমানেরা ভুল করলেও স্বীকার করে নেয় কিংবা পোল থেকে শিক্ষা নেয় যাতে সেটা দ্বিতীয়বার না হয়। কিন্তু মূর্খরা কিছু মানতে চায় না এক কথায় মূর্খ তাদেরকেই বলে যারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেও মানতে চায় না কিংবা বুঝতেই পারেনা
একটা কথা আছে মূর্খ বন্ধুর থেকে চালাক শত্রু ভালো কারণ চালাক ৭০ থেকে অনেক কিছু শেখা যাবে কিন্তু মূর্খ বন্ধু সবসময় বিপদেই ফেলবে এক কথায় বলতে গেলে মূর্খরা এক ধরনের সামাজিক অভিশাপ ।
বুদ্ধিমান তো অনেক রকমের হতে পারে বা বুদ্ধিমানের গুণ নিয়ে কথা বলার কোন মানে নেই কিন্তু যদি জানতেই হয় পাল্টাতেই হয় মূর্খদের ভুলগুলোকেই জানা উচিত কেন জানতে পারলেই সেগুলোকে ঠিক করা যাবে অথবা বাকিরা এর থেকে শিক্ষা নিতে পারবে যদিও মজার কথা হলো প্রকৃত মূর্খর থেকে কোন আশা নেই তারা এগুলোকে মানতে চাইবে না।
যারা নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনে তাদের কি বুদ্ধিমান বলে সুতরাং যদি আপনার এই গুণ থাকে তাহলে আপনি মূর্খ এবং খুব তাড়াতাড়ি সাবধান হন না হলে জীবন আপনাকে সবসময় সুযোগ দেবে না।
রাগ বা ক্রোধ/সব সময় তর্ক করা/অতিরিক্ত আবেগপূর্ণ:
রাগ হলো এমন একটা জিনিস যা অপরের থেকে নিজের ক্ষতি বেশি করে রাগ মানুষ মাত্রই হয়, রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন তার জন্য লাগে অসম্ভব মনের জোর এবং প্রকৃত শিক্ষা। বনের জন্তুরা পর্যন্ত নিজেদের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে, জীবন মরণ সমস্যা না হলে বা খুব ক্ষুধার্ত না হলে জন্তু-জানোয়ারাও রাগে না কারণ তারাও জানে যে অতিরিক্ত রাগ নিজের ক্ষতি ডেকে আনে।
সেখানে যে মানুষ হয়েও কথায় কথায় রেগে যায় তাকে তো জন্তুদের থেকে অধম বলতে হবে রেগে বা রাগিয়ে কোন কার্য শক্তি করা যায় না। কোন কারণ ছাড়াই অন্যের উপর বল কাটানোটা মুর্খামি যারা রাগ দেখানোটাকে সত্য বা চারিত্রিক গুণাবলী মনে করে তাদের থেকে মূর্খ দুনিয়াতে আর কেউ নেই কারণ এটা মাথায় রাখা উচিত আমি রাগ দেখিয়ে কারো ক্ষতি করলে উল্টোদিকে যে আছে সে ছেড়ে দেবে না সে কি ক্ষতি করতে পারে সেটা আমাদের আমাদের অজানা ।
আমরা সাধারণত রাখতে তাদেরকেই দেখি যাদের প্রকৃত শিক্ষা নেই মা-বাবার কোন ঠিক নেই রাস্তাঘাটে বড় হয়েছে চুরি-চামারি করে দিন যাপন করে অথবা অথবা অসম্ভব বড়লোক কিন্তু কোন শিক্ষা নেই সেখানেও দেখতে গেলে দেখতে হবে, নোংরামি এর মধ্যেই বড় হয়েছে।
এরকম মানুষজন খুব তাড়াতাড়ি রেগে যায়। এবং উল্টোদিকের মানুষকে আক্রমণ করতে চলে আসে । আবার এদের জীবনে খুব তাড়াতাড়ি যখন তখন শেষ হয়ে যায়। কারণ এরাও জানে না কোথায় কখন নিজেরাই বিপদে পড়বে।
কথা এমনই জিনিস যা একবার বলে ফেললে ফেরত আসে না সুতরাং কথা বলার আগে দশবার ভাবা উচিত আর সব থেকে ভালো হচ্ছে কথা বলার থেকে সোনা বেশি ।
কিন্তু মূর্খ লোকের একটা লক্ষণ থাকে তারা সবকিছুকেই তর্ক দিয়ে বোঝাতে চায় এবং কোন যথাযথ যুক্তি ছাড়াই তর্ক করতে থাকে যেমন দেখতে পাই টিভিতে , পার্টি পলিটিক্সের ডিবেট শো গুলোতে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনরা অভিযোগ করবে কিন্তু যখন উল্টো দিকের লোকেরা কিছু বলবে কিছু সেই শুনতে দেবে না উল্টোপাল্টা চেঁচামেচি করতে থাকবে।
যেভাবে যেন প্রকার হোক লোকে যাতে কেউ শুনতে না পারে সেই চেষ্টা করবে এইগুলোকে বলে মূর্খের লক্ষণ। কিন্তু মূর্খরা ভাবছে যে আমরা খুব বিশাল বড় কাজ করছি। কিন্তু সবাই সবকিছু বুঝতে পারে। অতিরিক্ত আবেগপ্রবন হল মানুষ কথা বলতে পারে না ঠিক করে আর কথায় কথায় যারা এত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে তাদের তাদের পরিপক্কতার হয়নি বা বুদ্ধি কম আছে।
হিংসা করা/সব সময় সমালোচনা করা/অন্যদেরকে অপমান করা
আজকাল কার দিনে এমন লোক বেশি যাদের হিংসা মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে পড়েছে হিংসা হলো একপ্রকার লোভ যা নিজে ভোগ করতে চায় কিন্তু পারেনি কোনো কারণে কিন্তু সেই ভোগের বাসনা যায়নি তারা হিংসা করে।
আরেকটা বৈশিষ্ট হলো এই হিংসুটে লোকজন সবসময় চাই অন্য লোকদের বাজে সমালোচনা করা কোনো কারণ ছাড়াই, নিজেদের ভুল কিছু বেরোলে এ বাকিদের ক ডাকে বোঝানোর চেষ্টা করবে যে এই ভুল তাদের নয় এটা আরেকজন এর জন্য হয়েছে সে ওই সে এই এসব কথা বলবে, আপনাদের যদি পিছনে কথা বলার খুব বাজে স্বভাব থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার সেই মানহুষ এর পর্যায়ে পড়েন না।
নিজেরদের অজান্তে এ নিজেদের ক্ষতি করে চলছেন,কারণ যারা সবসময় সমালোচনা করে তাদের মানসিক সমস্যায় হয়ে এ থাকে কারণ স্বাভাবিক মানুষ নিজেদের এই দোষ কে বুঝতে পারে এবং এড়িয়ে চলতে পারে।
এরা ওপরের ভালো শুনতে পারে না মূর্খ লোকজন নিজেদের কে বিশাল বিজ্ঞ ভাবে এবং এরা সুযোগ পলে এ অন্যায় লোকদের ক অসম্মান করতে ভালোবাসে কিন্তু নিজেরাই যে বাকিদের কাছে সমালোচিত হচ্ছে বা হবে সেটার কোনো ধারণা এ থাকে না। এমন বৈশিষ্ট পূর্ণ গুন থাকলে সেই ব্যাক্তি মূর্খ।
অধৈর্য/নিজেকে জাহির করা/কথা শোনার থেকে বলা বেশি:
ধৈর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গুন এবং প্রচন্ড কঠিন এটাকে বজায় রাখা জঙ্গলের জীবজন্তুদের মধ্যে ধৈর্য অনেক বেশি দেখা যায় ধৈর্য যার যত কম সে তত তাড়াতাড়ি মারা পড়ে জঙ্গলের নিয়ম এটাই, সে খাবারের জন্য হোক কিংবা নিজেকে আত্মরক্ষার জন্য ধৈর্য রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম জঙ্গলে বাঁচতে হলে।
একদম সেরকমই মানুষেরও সমাজ একটা জঙ্গল। এখানেও সবাই সবাইকে ক্ষতি করার জন্য অথবা প্রতিযোগিতার জন্য বসে আছে
যারা যত ধৈর্য রাখতে পারে তারা যে কোন বিষয়ে যে কোন জায়গায় অনেকদিন ধরে সাফল্য পেতে পারে কারণ সবসময় বুঝতে হবে আমার চারিদিকে যারা আছে তারা কিছু না কিছু করবেই আমি যত কম কথা বলবো যত ধৈর্য নিয়ে থাকবো তত তাড়াতাড়ি তাদেরকে বুঝতে পারবো।
কিন্তু যত অধৈর্য হয়ে পড়বো তত তাড়াতাড়ি আমি কি করবো সেটা বুঝতে পারবে এবং বাধা সৃষ্টি করবে। বাড়িতে বাবা মার অশান্তি তার মধ্যে পড়াশোনা করা যায় না এটা আজকের দিনে সবথেকে সাধারণ একটা বিষয় । তাই ছোটবেলা থেকেই এটা বোঝা উচিত কিভাবে চোখ কান বন্ধ রেখে নিজের সাফল্য এবং নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে তার জন্য দরকার অসীম ধৈর্য ।
স্কুল কলেজে অফিসে রাস্তাঘাটে সবাই সব সময় চাইবে আপনাকে রাগিয়ে দিয়ে নিজের কাজ করে যেতে। সুতরাং যত কম কথা বলবেন যত ধৈর্য ধরে দেখবেন কি হচ্ছে তাতে জয় নিশ্চিন্ত আপনার।
মূর্খ লোকেরা একদমই ধৈর্য ধরতে পারে না কেন ধৈর্য ধরাটা মূর্খদের কাজই নয় তাহলে সে মূর্খ নয়, ধৈর্য তারাই ধরতে পারে যারা অসীম বুদ্ধিমান।
সুতরাং যদি দেখেন যে আপনি কথায় কথায় অধৈর্য হয়ে পড়ছেন বুঝতে হবে যে আপনার মধ্যে বুদ্ধি অনেক কমে এসেছে। ভেবে নেবেন মূর্খদের দলে পড়েছেন ।
আমার এই কথাটা শুনে হয়তো অনেকে রেগে যাবেন অযথা , তখন বুঝতে হবে নিজের মাথার কোন অসুবিধা আছে কিন্তু যারা বুদ্ধিমান তারা এটা পড়বে নিজের কাজে চলে যাবে। এটা নিয়ে কিছু দেখাবেও না কিছু বলবেও না কিন্তু যেটা সত্যি সেটা তারা জানে।রাগ কোনো কিছুর যে সমাধান নয় সেটা মাথায় রাখা উচিত
অতিরিক্ত লোভ/সবকিছুতে লাভ খোঁজা/সবকিছুতেই হ্যাঁ বলা
যখন দেখবেন সব কিছু তে একটা লোভ হচ্ছে বুঝতে হবে কোন বড় সমস্যা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, যে কোনো জিনিস এর যেইটুকু দরকার তার বেশি ইচ্ছে রাখা মানে এ সেটা একদিন লোভ এ পরিণত হবে এবং দেখবেন নেশা তে পরিণত হয়েছে।
মানুষ মরে যাবার সময় কিছু এ সাথে নিয়ে যাবে না যা যাবে তা হলো আপনার কর্ম, এই লোভ এর বসে সব সময় বাজে কর্ম হতে থাকে কারণ লোভ হলো নেশা এবং সব বুদ্ধি বিবেচনা কে বন্ধ করে দেয় ,মানুষের ভাবার শক্তি চলে যায়।
জঙ্গল এর জন্তুরা ও অযথা লোভ করে না, লোভ এর জন্য মানুষ সব রকম কাজ থাকে বেশি মাত্রায় লাভ করতে চায় যে কোনো জিনিসে এ লাভ খোঁজা মূর্খামি সব কিছু সব সময় নিজের ইচ্ছে মতন হয় না সেটা ভুলে যায় মানুষ আর তখন এ জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। তাই নিজের লোভ কে যারা সামলাতে পারে না তারা এক প্রকার মূর্খ।
মিথ্যা কথা বলা/না জেনে মন্তব্য করা:
মনের সাহস ও আত্মবিশ্বাস একটা বড় জিনিস সবার থাকে না , এসব এর জন্য দরকার সততা আর নিজের ওপর বিশ্বাস যখন কোনো মানুষ ভুল করে কিন্তু সেটাকে মানতে চায় না তখন তাদের বিশ্বাস কমতে থাকে অথবা যখন মাত্রা অতিরিক্ত লোভ কিছু পাবার ইচ্ছে মনকে অন্ধকার করে ফলে তখন সেই মানুষ মিথ্যা কথার সাহায্য নিতে থাকে, আর একবার যে মিথ্যা বলতে শুরু করে তার সারা জীবন এ মিথ্যার সাথে এ কাটে সে যে যাই বলুক।
যে সফল হলে সবাই সব ভুলে যায় সেটা মনের সান্তনা মাত্র কারণ যে মিথ্যা দিয়ে জীবনে এগিয়েছে কি সফল ও হয়েছে সে নিজের কাছে কোনোদিন এ মহান হতে পারে না সত্যতা সে তো জানে সেইরকম যাদের বুদ্ধি বা লক্ষ্য পরিষ্কার নয় কিছু ভাবতে পারে না তাদের মিথ্যা বলা ছাড়া কিছু উপায় থাকে না।
বুদ্ধিমান ব্যাক্তিরা ও দরকারে মিথ্যা বলে কিন্তু সে জানে কোথায় কতটুকু বলতে হবে। কিন্তু মূর্খ দের শুরু থেকে শেষ শুধু মিথ্যা এ থাকে, এই জন্য বলা হয় মিথ্যা কে এড়িয়ে চলুন।
আর মিথ্যা কথার বড় বাজে গুন হলো যে মিথ্যা কথা মনে রাখা যায় না তাই মিথ্যা বলা শুরু করা মানে আপনি মূর্খের দিকে এগিয়ে চলছেন।মিথ্যা কথা বলা লোকজন দের নিজেকে ঠিক প্রমান করতে গিয়ে না জানে এ অবান্তর মন্তব্য করে ফেলে যা পরে তাদের ক আরো মিথ্যা বলতে জোর করে,মূর্খ দের কে বোঝানো যায় না তাই তো তারা মূর্খ
সচেতনতার শর্ত:
কাউকে ব্যাক্তিগত বা ধর্মীয় আঘাত করার কোনো উদেশ্য নেই যা সত্য ঘটনা ঘটে চলছে তার বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল থেকে সমষ্টিগত বিশ্লেষণ এবং তাই লেখা হয়েছে এখানে আমরা কোনো ব্যাক্তি বা ধর্ম বা রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করি না এবং ভুয়ো খবর বা পোস্ট করি না তার পর ও যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকে সেটা তার ব্যাপার আমরা কোনোভাবে দায়ী নই।
একগাদা বিশ্লেষণ কিংবা বইয়ের এদিক-ওদিক সেদিকের কোন জ্ঞান নয়, সোজা কথা একদম সহজভাবে বোঝানো হয়েছে। এখানে কোন তথ্য দিয়ে মাথা ঘামানোর মতন কোন বিষয় নিয়ে লেখা হয় না। মানুষের চোখ কান খোলার জন্য যেটুকু কথা দরকার সেটুকুই বলা হয়।
যা সহজে বোধগম্য হয়, কে কি বলেছে কোন Writers/Actors/Scientists/ Philosopher etc কি বলে গেছে! কোন বইতে কি লেখা আছে! কোন দেশে কি বিশ্লেষণ হয়েছে কে এই রিপোর্ট দিয়েছে কে ওই রিপোর্ট দিয়েছে? এসব জেনে বা জানার ইচ্ছা সব সময় মানুষের থাকে না এবং অত details reports মনেও থাকে না।
যেটা মনে থাকে সোজা কথা সহজ ভাবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।আমাদের লক্ষ্য সচেতনতা বাড়ানো । সাধারণ জিনিস সাধারণভাবে সাধারণ মানুষদের জন্য এখানে লেখা হয়। কে কত বড় পন্ডিত সেটা প্রমাণ করার জায়গা এটা নয়।সবকিছু বাস্তবিক অভিজ্ঞতা থেকে লেখা হয়, মনের কথা মন পর্যন্ত।