Social

সামাজিক বলতে কি বুঝি ? আমরা কি সামাজিক? । What is social ? Are we Social?

সোশালের বাংলা মানে হল সামাজিক। সামাজিক কি বুঝতে গেলে আগে জানতে হবে সমাজ ব্যবস্থা কি? সমাজ কাকে বলে? What is society ? খুব সহজে বলতে গেলে যখন একটা দেশে বা একটা বড় অংশের লোকজন কিছু নিয়ম, জীবন ধারণ এর প্রণালী, আচার অনুষ্ঠান, ধার্মিক চিন্তাভাবনা, মানসিকতা সবকিছু একসাথে পরস্পরের সাথে মিলেমিশে থাকে তখন তৈরি হয় একটা সমাজ। যার একটা নিজস্বতা আছে যার প্রত্যেকটা নিয়ম তৈরি হয়েছে সবকিছু চিন্তা ভাবনা করে । এগুলির বানানোর কারণ হলো সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা। সবাই যাতে শান্তিতে মিলেমিশে থাকতে পারে। সমাজ বলতে মূলত এমন এক ব্যবস্থা বোঝায়, যেখানে একাধিক লোকজন একত্রে কিছু নিয়ম-কানুন প্রতিষ্ঠা করে একত্রে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলে। মানুষের ক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তি একত্র হয়ে লিখিত কিংবা অলিখিত নিয়ম-কানুন তৈরি করে; এরকম একত্র বসবাসের অবস্থাকে সমাজ বলে।  “সমাজ” শব্দটি দ্বাদশ শতাব্দীর ফরাসি শব্দ société থেকে এসেছে যার অর্থ ‘সঙ্গ’। এটি পালাক্রমে ল্যাটিন শব্দ societas থেকে এবং পরবর্তীতে বিশেষ্য socius(“বন্ধু, মিত্র”;বিশেষণ socialis) থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। শব্দটি নাগরিকদের মধ্যে একপ্রকার বন্ধন বা বন্ধুত্বপূর্ণ মিথস্ক্রিয়া বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। সামাজিক কাকে বলে ? What is social? সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে যারা প্রত্যেকটা নিয়মকে মেনে চলে তাদেরকেই সামাজিক বলে , আমরা জানি মানুষ একটি সামাজিক প্রাণী, প্রত্যেকটা জীবজন্তুরই একটা সমাজব্যবস্থা থাকে কিন্তু মানুষ যেহেতু উন্নত জীব আমাদের সামাজিক ব্যবস্থা অনেকটা উন্নত কিন্তু সাথে অনেক জটিলতাও আছে। মানুষ খুবই বুদ্ধিমান প্রাণী , কিন্তু এই বুদ্ধি তারা বাজে দিকেও ব্যবহার করে। কোন মানুষ যখন নিকৃষ্ট মানের কোন অন্যায় কাজ করে তখন তাকে সমাজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বা একটা দাগিয়ে দেওয়া হয়। যে এই ব্যক্তি সমাজবিরোধী । আজকের দিনে আমরা কি সত্যি সামাজিক ? উত্তরটা হলো না একদমই সামাজিক নই, হয়তো কিছু আচার অনুষ্ঠান মানি কিন্তু সেটা সব নয় , হিংসা, রাগ, লোভ ,কাম , অহংকার এসব জর্জরিত সামান্য স্বাভাবিক চিন্তাও করি না অন্যের জন্য ।  প্রশ্নটা হলো আমরা এরকম হয়ে গেলাম কেন এটা কি একদিনেই হয়ে গেছে ? না তা নয় অনেক দিনের পর,  ভালো করে বললে অনেক দশক ধরে একই রকম ভাবে হতে থাকলে সেটাকে ঠিক মনে করা মনে হয়, আর এটা হওয়ারও কারণ আছে যখন আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করি না তখন বাকিদের কাছে অন্যায়টাকে ঠিক জিনিস মনে হয় । আর এই ভাবেই তৈরি হয় অসামাজিক পরিবেশ। প্রত্যেকটা সমাজের কিছু ভালো জিনিস থাকে তার মধ্যে ধৈর্য সহানুভূতিশীল ভালোবাসা অন্যকে সম্মান করা অন্যের কষ্টকে নিজের মনে করা নিজে আনন্দে অন্যদেরকে শামিল করা অন্যের দুঃখে নিজে শামিল হওয়া কেউ ভালো কিছু করলে তাকে প্রশংসা করা বাজে কিছু করলে সেটা মুখের উপরে সত্যি কথা বলা পেছনে নয় কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করা মানসিকভাবে একে অপরকে সাহায্য করা এই গুণগুলোকে বলা হয় সামাজিক গুণ, এগুলো কি এখন দেখা যায় আমাদের মধ্যে? পশুপাখি জন্তু-জানোয়ারা পর্যন্ত আমাদের থেকে বেশি সামাজিক তারা একজনের বিপদের সবাই আছে কিন্তু আমরা একজনের বিপদ হলে আরেকজন উপভোগ করছি আমরা সামাজিক লজ্জা করে না ভাবতে। আমরা মনে করি সবকিছু সরকারের কাজ নিজের ইচ্ছা নিজের ভালোলাগা সেটাও কি সরকার পছন্দ করে দেবে না আমি থুতু ফেলব পাশের বাড়ি সেটা সরকারে এসে পরিষ্কার করে দেবে আমি লোকের প্রতি হিংসা করব সেটাও কি সরকার এসে দেখবে আমি কি বেআইনিভাবে কার্ডটা কেড়ে নিয়েছি সেটা কি সরকারি সরকার এসে দেখবে ? আমি একটা কুকুরকে জল না দিয়ে খাবার না দিয়ে তাকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দিচ্ছি, তার বাচ্চাগুলোকে মেরে দিয়েছি এটাও কি সরকার এসে দেখবে? আমার ছেলে মেয়ের সাথে হিংসা করছি। আমার ছেলে মেয়ের সাথে বাচ্চারা যারা হিংসা করছে তাদের সাথে হিংসা করছি। তাদেরকে মিথ্যা কথা বলছি এগুলো কি সরকার এসে দেখবে? সরকার কি প্রত্যেকটা মানুষের মাথার মধ্যে ঢুকে ঢুকে গিয়ে তাদেরকে বলতে থাকবে যে কি করা উচিত কি উচিত না? সুতরাং আমরা যে অসভ্য হয়ে গেছি সেটা বলতে ভাবতে দ্বিধা করা উচিত নয় এবং যদি কেউ ভাবি যে আমি অসামাজিক হয়ে গেছি কিন্তু সমাজ তো আমার কথা শুনবে তাহলে ভুল, পরবর্তীকালে কোথাও না কোথাও এরকম অসামাজিকতা নিজেকেও মুখোমুখি হতে হবে। অন্যের বাজে চাইলে সেটা কখনোই নিজের জন্য ভালো হয়ে আসতে পারে না সে যখনই হোক বা যেটা আসবেই এটা বিজ্ঞান এটা কোন কুসংস্কার ধার্মিক কথা নয়। যেমন গাছ কেটেই যাচ্ছি গরম বাড়ছে সুতরাং প্রকৃতিকে যা দেবে প্রকৃতি তাই ফেরত দেবে,এটাই নিয়ম মানলে ভালো না মানলে আরো ভালো নিজের শেষ সময় সব মনে পড়বে। কিন্তু কিছু করার থাকবে না ভুল যত আগে মানা যাবে তত ঠিক করার সুযোগ থাকবে। আর ঠিক করতে না পারলে সেটা আবার সেখান থেকে শুরু হবে। এটাই প্রকৃতির বিজ্ঞান কি করে আর কেন এইভাবে আমরা অসামাজিক হয়ে পড়ছি সেটার কিছু জিনিস বিশ্লেষণ করা খুবই দরকার। আজকের সামাজিকতা: সোশ্যাল বা সামাজিকের আসল বাস্তবতা এখন অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে আমরা কতখানিক সামাজিক সেটা বলা এখন মুশকিল। আমরা মানুষ আজকের দিনে নিজেদের মানুষ সবকিছুই হারিয়ে ফেলেছি , অহংকারে অন্ধ বুদ্ধি নেই কিন্তু বুদ্ধিমান সাজার চেষ্টা করি। সমাজের যতই বাজে কাজ হোক নিজেদের স্বার্থে চুপ থাকি । এটাকে কি করে সামাজিক বলা যায়! পাশের বাড়ির কোন অসুবিধা হলেও আমরা আজকাল গ্রাহ্য করি না। বাস, ট্রেনের একটা সিটের জন্য ১৫ মিনিট দাঁড়ানোর ব্যাপারেও মারামারি পর্যন্ত করি, স্কুলের বাচ্চাদের জন্য নিজেরা ঝগড়া করি কোন বয়স্ক লোক পাশে এসে দাঁড়ালে মোবাইল দেখার ভান করে এড়িয়ে যাই এরকম বহু ছোট ছোট ঘটনা আছে যেখানে আমরা মানুষ বলে নিজেকে পরিচয় দিতে লজ্জা পাই। তাহলে আমরা কেমন সামাজিক? শুধু দাঁত বের করে কারো বিয়ে বাড়ি যাওয়ার হলে গিফট নিয়ে গেলেই কি সামাজিক? এটাকে কি বলা হবে? বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে নিজেদেরকে বড়াই করছি। মিথ্যা কথা বলছি। যা নয় তাই দেখাচ্ছি। কিন্তু আবার বাকিদের মিথ্যাটাকে বিশ্বাস করছি এবং সেটা দেখে নিজেদের ভালো সম্পর্ক গুলোকে নষ্ট করছি আবার আমরা সামাজিক! আমরা গায়ের টি শার্ট সামাজিকের বিভিন্ন কথা লিখে বেরাই কমিউনিজম দেখাই ! জামা তে বুদ্ধিমান লিখে বেড়ালে বুদ্ধিমান হয় না সেরকম মানুষের পাশে আছি বলা লেখা থাকলেই সে মানুষের পাশে আছে তার কোন মানে নেই। সবকিছু জানতে গেলে সমাজকে সামাজিকতাকে বুঝতে গেলে আমরা কোথা থেকে ভুল করছি কেন করছি কাদের কথায় করছি এগুলো নিয়ে আলোচনা দরকার, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলের কিছু কারণ নিচে আলোচনা করা হলো। সামাজিক চিন্তাধারা বদলের কারণ: রাজনীতি: সমাজব্যবস্থা কে চালনা করার মূল দুটো কারণ হলো অর্থনৈতিক এবং আইন ব্যবস্থা আর এই দুটোকেই পরিবর্তন এবং চালনা করার ক্ষমতা রাখে রাজনৈতিক দল। যেই দল সরকার গঠন করবে তার হাতেই সব ক্ষমতা এবং সেই ক্ষমতা তারা কিভাবে ব্যবহার করবে সেটা একমাত্র তারাই জানে স্বাধীনতার পর থেকে ভারতবর্ষে কংগ্রেস ও সিপিএম এই দুটো পার্টির মানসিকতা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলানোর জন্য মূল কারণ. এই দুটো দলেরই মানসিকতা এবং সামাজিক

সামাজিক বলতে কি বুঝি ? আমরা কি সামাজিক? । What is social ? Are we Social? Read More »

মূর্খ কাকে বলে ? এই ৫ টি দোষ থাকলে নিঃসন্দেহে আপনি মূর্খ । What is stupidity ? 5 stupid signs?

মূর্খ ও মূর্খতা: বুদ্ধিমান সবাই নাই হতে পারে কিন্তু কিছু না বুঝেও সবকিছু বোঝার ভান করা এবং বোকামির দৃষ্টি স্থাপন করাকে মুর্খামি বলে। যারা প্রতিনিয়ত মুর্খামি করেই চলে তাদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। মূর্খ হওয়াটা কোন পাপ নয় কিন্তু সেটাকে নিয়ে গর্ব করা এবং ভুল থেকে শিক্ষা না নেওয়াটা অবশ্যই পাপ যেটা আজকের দিনে বেশিরভাগ লোকই করে চলছে নির্লজ্জ ভাবে। বুদ্ধিমান আর মূর্খের মধ্যে তফাৎটা খুব কম বুদ্ধিমানেরা ভুল করলেও স্বীকার করে নেয় কিংবা পোল থেকে শিক্ষা নেয় যাতে সেটা দ্বিতীয়বার না হয়। কিন্তু মূর্খরা কিছু মানতে চায় না এক কথায় মূর্খ তাদেরকেই বলে যারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেও মানতে চায় না কিংবা বুঝতেই পারেনা একটা কথা আছে মূর্খ বন্ধুর থেকে চালাক শত্রু ভালো কারণ চালাক ৭০ থেকে অনেক কিছু শেখা যাবে কিন্তু মূর্খ বন্ধু সবসময় বিপদেই ফেলবে এক কথায় বলতে গেলে মূর্খরা এক ধরনের সামাজিক অভিশাপ । বুদ্ধিমান তো অনেক রকমের হতে পারে বা বুদ্ধিমানের গুণ নিয়ে কথা বলার কোন মানে নেই কিন্তু যদি জানতেই হয় পাল্টাতেই হয় মূর্খদের ভুলগুলোকেই জানা উচিত কেন জানতে পারলেই সেগুলোকে ঠিক করা যাবে অথবা বাকিরা এর থেকে শিক্ষা নিতে পারবে যদিও মজার কথা হলো প্রকৃত মূর্খর থেকে কোন আশা নেই তারা এগুলোকে মানতে চাইবে না। যারা নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনে তাদের কি বুদ্ধিমান বলে সুতরাং যদি আপনার এই গুণ থাকে তাহলে আপনি মূর্খ এবং খুব তাড়াতাড়ি সাবধান হন না হলে জীবন আপনাকে সবসময় সুযোগ দেবে না। রাগ বা ক্রোধ/সব সময় তর্ক করা/অতিরিক্ত আবেগপূর্ণ:  রাগ হলো এমন একটা জিনিস যা অপরের থেকে নিজের ক্ষতি বেশি করে রাগ মানুষ মাত্রই হয়, রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন তার জন্য লাগে অসম্ভব মনের জোর এবং প্রকৃত শিক্ষা। বনের জন্তুরা পর্যন্ত নিজেদের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে, জীবন মরণ সমস্যা না হলে বা খুব ক্ষুধার্ত না হলে জন্তু-জানোয়ারাও রাগে না কারণ তারাও জানে যে অতিরিক্ত রাগ নিজের ক্ষতি ডেকে আনে। সেখানে যে মানুষ হয়েও কথায় কথায় রেগে যায় তাকে তো জন্তুদের থেকে অধম বলতে হবে রেগে বা রাগিয়ে কোন কার্য শক্তি করা যায় না। কোন কারণ ছাড়াই অন্যের উপর বল কাটানোটা মুর্খামি যারা রাগ দেখানোটাকে সত্য বা চারিত্রিক গুণাবলী মনে করে তাদের থেকে মূর্খ দুনিয়াতে আর কেউ নেই কারণ এটা মাথায় রাখা উচিত আমি রাগ দেখিয়ে কারো ক্ষতি করলে উল্টোদিকে যে আছে সে ছেড়ে দেবে না সে কি ক্ষতি করতে পারে সেটা আমাদের আমাদের অজানা । আমরা সাধারণত রাখতে তাদেরকেই দেখি যাদের প্রকৃত শিক্ষা নেই মা-বাবার কোন ঠিক নেই রাস্তাঘাটে বড় হয়েছে চুরি-চামারি করে দিন যাপন করে অথবা অথবা অসম্ভব বড়লোক কিন্তু কোন শিক্ষা নেই সেখানেও দেখতে গেলে দেখতে হবে, নোংরামি এর মধ্যেই বড় হয়েছে। এরকম মানুষজন খুব তাড়াতাড়ি রেগে যায়। এবং উল্টোদিকের মানুষকে আক্রমণ করতে চলে আসে । আবার এদের জীবনে খুব তাড়াতাড়ি যখন তখন শেষ হয়ে যায়। কারণ এরাও জানে না কোথায় কখন নিজেরাই বিপদে পড়বে। কথা এমনই জিনিস যা একবার বলে ফেললে ফেরত আসে না সুতরাং কথা বলার আগে দশবার ভাবা উচিত আর সব থেকে ভালো হচ্ছে কথা বলার থেকে সোনা বেশি । কিন্তু মূর্খ লোকের একটা লক্ষণ থাকে তারা সবকিছুকেই তর্ক দিয়ে বোঝাতে চায় এবং কোন যথাযথ যুক্তি ছাড়াই তর্ক করতে থাকে যেমন দেখতে পাই টিভিতে , পার্টি পলিটিক্সের ডিবেট শো গুলোতে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনরা অভিযোগ করবে কিন্তু যখন উল্টো দিকের লোকেরা কিছু বলবে কিছু সেই শুনতে দেবে না উল্টোপাল্টা চেঁচামেচি করতে থাকবে। যেভাবে যেন প্রকার হোক লোকে যাতে কেউ শুনতে না পারে সেই চেষ্টা করবে এইগুলোকে বলে মূর্খের লক্ষণ। কিন্তু মূর্খরা ভাবছে যে আমরা খুব বিশাল বড় কাজ করছি। কিন্তু সবাই সবকিছু বুঝতে পারে। অতিরিক্ত আবেগপ্রবন হল মানুষ কথা বলতে পারে না ঠিক করে আর কথায় কথায় যারা এত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে তাদের তাদের পরিপক্কতার হয়নি বা বুদ্ধি কম আছে। হিংসা করা/সব সময় সমালোচনা করা/অন্যদেরকে অপমান করা আজকাল কার দিনে এমন লোক বেশি যাদের হিংসা মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে পড়েছে হিংসা হলো একপ্রকার লোভ যা নিজে ভোগ করতে চায় কিন্তু পারেনি কোনো কারণে কিন্তু সেই ভোগের বাসনা যায়নি তারা হিংসা করে। আরেকটা বৈশিষ্ট হলো এই হিংসুটে লোকজন সবসময় চাই অন্য লোকদের বাজে সমালোচনা করা কোনো কারণ ছাড়াই, নিজেদের ভুল কিছু বেরোলে এ বাকিদের ক ডাকে বোঝানোর চেষ্টা করবে যে এই ভুল তাদের নয় এটা আরেকজন এর জন্য হয়েছে সে ওই সে এই এসব কথা বলবে, আপনাদের যদি পিছনে কথা বলার খুব বাজে স্বভাব থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার সেই মানহুষ এর পর্যায়ে পড়েন না। নিজেরদের অজান্তে এ নিজেদের ক্ষতি করে চলছেন,কারণ যারা সবসময় সমালোচনা করে তাদের মানসিক সমস্যায় হয়ে এ থাকে কারণ স্বাভাবিক মানুষ নিজেদের এই দোষ কে বুঝতে পারে এবং এড়িয়ে চলতে পারে। এরা ওপরের ভালো শুনতে পারে না মূর্খ লোকজন নিজেদের কে বিশাল বিজ্ঞ ভাবে এবং এরা সুযোগ পলে এ অন্যায় লোকদের ক অসম্মান করতে ভালোবাসে কিন্তু নিজেরাই যে বাকিদের কাছে সমালোচিত হচ্ছে বা হবে সেটার কোনো ধারণা এ থাকে না। এমন বৈশিষ্ট পূর্ণ গুন থাকলে সেই ব্যাক্তি মূর্খ। অধৈর্য/নিজেকে জাহির করা/কথা শোনার থেকে বলা বেশি: ধৈর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গুন এবং প্রচন্ড কঠিন এটাকে বজায় রাখা জঙ্গলের জীবজন্তুদের মধ্যে ধৈর্য অনেক বেশি দেখা যায় ধৈর্য যার যত কম সে তত তাড়াতাড়ি মারা পড়ে জঙ্গলের নিয়ম এটাই, সে খাবারের জন্য হোক কিংবা নিজেকে আত্মরক্ষার জন্য ধৈর্য রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম জঙ্গলে বাঁচতে হলে। একদম সেরকমই মানুষেরও সমাজ একটা জঙ্গল। এখানেও সবাই সবাইকে ক্ষতি করার জন্য অথবা প্রতিযোগিতার জন্য বসে আছে যারা যত ধৈর্য রাখতে পারে তারা যে কোন বিষয়ে যে কোন জায়গায় অনেকদিন ধরে সাফল্য পেতে পারে কারণ সবসময় বুঝতে হবে আমার চারিদিকে যারা আছে তারা কিছু না কিছু করবেই আমি যত কম কথা বলবো যত ধৈর্য নিয়ে থাকবো তত তাড়াতাড়ি তাদেরকে বুঝতে পারবো। কিন্তু যত অধৈর্য হয়ে পড়বো তত তাড়াতাড়ি আমি কি করবো সেটা বুঝতে পারবে এবং বাধা সৃষ্টি করবে। বাড়িতে বাবা মার অশান্তি তার মধ্যে পড়াশোনা করা যায় না এটা আজকের দিনে সবথেকে সাধারণ একটা বিষয় । তাই ছোটবেলা থেকেই এটা বোঝা উচিত কিভাবে চোখ কান বন্ধ রেখে নিজের সাফল্য এবং নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে তার জন্য দরকার অসীম ধৈর্য । স্কুল কলেজে অফিসে রাস্তাঘাটে সবাই সব সময় চাইবে আপনাকে রাগিয়ে দিয়ে নিজের কাজ করে যেতে। সুতরাং যত কম কথা বলবেন যত ধৈর্য ধরে দেখবেন কি হচ্ছে তাতে জয় নিশ্চিন্ত আপনার। মূর্খ লোকেরা একদমই ধৈর্য ধরতে পারে না কেন ধৈর্য ধরাটা মূর্খদের কাজই নয় তাহলে সে মূর্খ নয়, ধৈর্য তারাই ধরতে পারে যারা অসীম বুদ্ধিমান। সুতরাং যদি দেখেন যে আপনি কথায় কথায় অধৈর্য হয়ে পড়ছেন বুঝতে হবে যে

মূর্খ কাকে বলে ? এই ৫ টি দোষ থাকলে নিঃসন্দেহে আপনি মূর্খ । What is stupidity ? 5 stupid signs? Read More »

Scroll to Top